গোলাপ ফুলঃ- কাশেম আলী। এক সময় স্বপ্ন ছিল সুখের সংসার, প্রেমের মানুষ আলেয়ার সাথে কাটাবেন কাটটি জীবন। কিন্তু নিয়তি তাকে নিয়ে আদর্শ নির্মম এক খেলা।
আলেকে বিয়ে করার জন্য শুধুমাত্র পঁচিশের পরিবারের সদস্যরা পাড়ি জমিয়েছিলেন বারাইন, ও প্রিয়জনদের জন্য ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু সেই প্রবাসের অভিজ্ঞতা শুনেছেন, তার হৃদয়াণী তার প্রেমিকের আলে গিয়েছে।
সেই খবর প্রচার থেকে কাশেম আলীর পর পর থমকে গেল। আলেয়াকে ভালোবেসে ছিল মন-প্রাণ দিয়ে, ভিডিও সে তাকে খুলে বলে। আলেয়ার প্রতি তার প্রেম নিখাদ, কারণ সে-ই ছিল কাশেমের জীবনের প্রথম নারী, প্রথম প্রেম।
আলেয়ারের কাছে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করতে না কশেম আর দেশে ফেরেননি। একটানা ২৪ বছর ক্যাটালিটালে প্রবাসে, বুকের চাপা কষ্ট আর বেদনার পাহাড়ে নিয়ে।
কিন্তু ভাগ্য তাকে আর বেশি দিন সহ্য কর না। সামরিক পরীক্ষায় আনফিট হওয়া সংগ্রাম ভাবলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবন কষ্টার্জিত অর্থে শান্তিতে বাকি থাকবেন। কিন্তু দেশে ফিরে যাও, তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আরও জোরে। মা-বাবা, ভাই-বোনেরা তার প্রবাস জীবনের সমস্ত কাজ শেষ করেছে। তিনি শূন্যস্থানে। চার মাস বাড়িতে বসেন, তবে সেই বাড়িও তার জন্য উঠল না। মান-অভিমান, কষ্ট-দুঃখ এক কাপড়ে আমার পরিবারের বাড়ি থেকে।
আজ পাঁচ বছর হয়েছে তিনি পথ ঘুরছেন। কোনো জায়গা নেই, আশ্রয় নেই, জীবন কেবল একমুঠো ভাতের আশায়। মাজারে মাজারে কাটান দিন। আজও হাঁটাতে হাঁটতে চাঁদপুরের হাজী থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছেন। গন্তব্য চট্টগ্রামের আমান শাহ মাজার, সেখানে দুই বেলা খাবার মেলে। কাশেম আলীর জীবনের কাছে আর কোনো চাওয়া নেই। শুধু দুই বেলা ভাতই তিনি সুখী।
দেখ মুছতে বললেন কাশেম, “আল্লাহ যেদিন ডেকে নেবে, আল্লাহ যেদিন ডেকে নেবে, সেই শর্তে এই মাজারেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। পথের ধুলো আর জীবনের দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে কাশেম আলী হাঁটছেন অনন্ত গন্তব্যের পথ…#প্রবাসী #প্রবাসী